আগেরটির মতোই কেবল দুটি স্টেশনে বিরতি দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন দেয়া হয়েছে। এটি যাতায়াত শুরু করবে ১০ই জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে। ৭৮৫ আসনের এই ট্রেন শুধু ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।
ঢাকা-কক্সবাজার পথে ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রটিতে রেল চালুর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনের আসন ও সময়সূচি চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ছয়টায় ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে।
চট্রগ্রামে এটির যাত্রাবিরতি হবে ২০ মিনিট। এরপর কক্সবাজারে পৌঁছাবে বেলা তিনটায়। একইদিন রাত আটটায় ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। অতপর চট্টগ্রাম স্টেশনে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ও ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর সাড়ে চারটায়।
‘পর্যটক এক্সপ্রেস’এ ১১৫টি আসন চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য বরাদ্দ। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম থেকে আসনসংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই ট্রেনটি রোববার বন্ধ থাকবে।
নতুন ট্রেনের ভাড়াও রাখা হয়েছে আগেরটির সমান। ঢাকা থেকে ৩৪৬ কিলোমিটার দুরত্বের কক্সবাজারের পথে এই ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ারের ভাড়া ৯৬১, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ ও ঘুমিয়ে যাওয়ার সিটের জন্য ভাড়া ১ হাজার ৭২৫ টাকা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন এই ট্রেনের নামকরন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সদ্য আমদানি করা কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে।